বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০

আলবার্ট আইনস্টাইন | Albert Einstein




আলবার্ট আইনস্টাইন | Albert Einstein
জন্ম ১৪ মার্চ ১৮৭৯  : উল্‌ম, উরটেমবার্গ (Württemberg), জার্মানি
মৃত্যু ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫ (বয়স ৭৬): প্রিন্সটন, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র
পুরস্কার:
বার্নার্ড মেডেল (1920)
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার (1921)
ম্যাটুউসি মেডেল (1921)
ফরমেমআরএস (1921)
কোপালি পদক (1925)
রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির স্বর্ণপদক (1926)
ম্যাক্স প্লাংক  পদক (1929)
জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য (1942)
শতাব্দীর সময় পার্সন (1999)

আলবার্ট আইনস্টাইন (জার্মান: Albert Einstein ‌) (১৪ মার্চ ১৮৭৯ - ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য।
আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তার অবদান অনেক। সবচেয়ে বিখ্যাত আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বলবিজ্ঞান ও তড়িচ্চৌম্বকত্বকে একীভূত করেছিল এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব অসম গতির ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে একটি নতুন মহাকর্ষ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব, কৈশিক ক্রিয়া, ক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তা, পরিসাংখ্যিক বলবিজ্ঞানের চিরায়ত সমস্যাসমূহ ও কোয়ান্টাম তত্ত্বে তাদের প্রয়োগ, অণুর ব্রাউনীয় গতির একটি ব্যাখ্যা, আণবিক ক্রান্তিকের সম্ভ্যাব্যতা, এক-আণবিক গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্ব, নিম্ন বিকরণ ঘনত্বে আলোর তাপীয় ধর্ম (যা ফোটন তত্ত্বের ভিত্তি রচনা করেছিল), বিকিরণের একটি তত্ত্ব যার মধ্যে উদ্দীপিত নিঃসরণের বিষয়টিও ছিল, একটি একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্বের প্রথম ধারণা এবং পদার্থবিজ্ঞানের জ্যামিতিকীকরণ।
১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় আসেন, সে সময় তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন সে সময় দেশত্যাগ করে আমেরিকায় চলে আসেন এবং আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মানি "ভিন্ন ধরনের অসম্ভব শক্তিশালী বোমা বানাতে পারে" মর্মে সতর্কতা উচ্চারণ করে আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তার এই চিঠির মাধ্যমেই ম্যানহাটন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের সঙ্গে মিলে আণবিক বোমার বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র:
আইনস্টাইনের গবেষণাকর্মসমূহ বিস্তৃত  রয়েছে ৫০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং কিছু বিজ্ঞান-বহির্ভূত পুস্তকে।১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে "শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি" হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোট গ্রহণের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সবাই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সাধারণ সংস্কৃতি এবং দৈনন্দিন ব্যবহারে মেধাবী এবং প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে বা কোনো কিছুকে বুঝাতে এখন তাই "আইনস্টাইন" শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এটি মেধার সমার্থক।
১৯০৫ সালে পেটেন্ট অফিসে কর্মরত থাকাকলিন সময়ে আইনস্টাইন Annalen der Physik নামক জার্মান বিজ্ঞান সাময়িকীতে চারটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তখনও তিনি পেটেন্ট অফিসে কর্মরত ছিলেন। জার্মানির নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রগুলোকে ইতিহাসে অ্যানাস মিরাবিলিস গবেষণাপত্রসমূহ নামে স্মরণীয় করে রাখা হয়েছে। গবেষণাপত্র চারটির বিষয় ছিল:
আলোক তড়িৎ ক্রিয়া - আইনস্টাইনের আলোক তড়িৎ সমীকরণ প্রতিপাদন।
ব্রাউনীয় গতি - আণবিক তত্ত্বের সমর্থন।
তড়িৎগতিবিজ্ঞান - আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব আবিষ্কার।
ভর-শক্তি সমতুল্যতা - বিখ্যাত E=mc2 সূত্র প্রতিপাদন।
চারটি গবেষণাপত্র বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত এবং এগুলোর কারণেই ১৯০৫ সালকে আইনস্টাইনের জীবনের "চমৎকার বছর" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য সে সময় তার গবেষণাপত্রের অনেকগুলো তত্ত্বই প্রমাণিত হয়নি এবং অনেক বিজ্ঞানীর কয়েকটি আবষ্কারকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দেন। যেমন আলোর কোয়ান্টা বিষয়ে তার মতবাদ অনেক বছর ধরে বিতর্কিত ছিল।২৬ বছর বয়সে আইনস্টাইন জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার উপদেষ্টা ছিলেন পরীক্ষণমূলক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আলফ্রেড ক্লাইনার। তার পিএইডি অভিসন্দর্ভের নাম ছিল, "আ নিউ ডিটারমিনেশন অফ মলিক্যুলার ডাইমেনশন্‌স" তথা আণবিক মাত্রা বিষয়ে একটি নতুন নিরুপণ।(Einstein 1905)
পদোন্নতি ও অধ্যাপনা শুরু:
১৯০৬ সালে পেটেন্ট অফিস আইনস্টাইনকে টেকনিক্যাল পরীক্ষকের পদে উন্নীত করে। কিন্তু তিনি তখনও পড়াশোনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯০৮ সালে বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের privatdozent হিসেবে যোগ দেন।১৯১০ সালে তিনি ক্রান্তীয় অনচ্ছতা বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এতে পরিবেশে একক অণু কর্তৃক বিচ্ছুরিত আলোর ক্রমপুঞ্জিত প্রভাব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এর মাধ্যমেই আকাশ কেন নীল দেখায় তার রহস্য উন্মোচিত হয়। ১৯০৯ সালে আরও দুটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। প্রথমটিতে তিনি বলেন, ম্যাক্স প্লাংকের শক্তি-কোয়ান্টার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ভরবেগ থাকতে হবে এবং তা একটি স্বাধীন বিন্দুবৎ কণার মত আচরণ করবে। এই গবেষণাপত্রেই ফোটন ধারণাটির জন্ম হয়। অবশ্য ফোটন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন গিলবার্ট এন লুইস ১৯২৬ সালে। তবে আইনস্টাইনের গবেষণায়ই ফোটনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায় এবং এর ফলে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা বিষয়ক ধারণার উৎপত্তি ঘটে। তার অন্য গবেষণাপত্রের নাম ছিল "Über die Entwicklung unserer Anschauungen über das Wesen und die Konstitution der Strahlung" (বিকিরণের গাঠনিক রূপ এবং আবশ্যকীয়তা সম্বন্ধে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন) যা আলোর কোয়ান্টায়ন বিষয়ে রচিত হয়।
১৯১১ সালে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন আইনস্টাইন। অবশ্য এর পরপরই চার্লস ইউনিভার্সিটি অফ প্রাগে পূর্ণ অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন। প্রাগে অবস্থানকালে আলোর উপর মহাকর্ষের প্রভাব বিশেষত মহাকর্ষীয় লাল সরণ এবং আলোর মহাকর্ষীয় ডিফ্লেকশন বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র লিখেন। এর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহনের (Solar eclipse) সময় আলোর ডিফ্লেকশনের কারণ খুঁজে পান। এ সময় জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী Erwin Freundlich বিজ্ঞানীদের প্রতি আইনস্টাইনের চ্যালেঞ্জগুলো প্রচার করতে শুরু করেন।

তথ্যসূত্র :
(উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে)

Unselectable text.

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

চাৰ্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত ভাষণের অংশ


Charles Darwin



চার্লস ডারউইন (Charles Darwin)
(১২ ফেব্রুয়ারি ১৮০৯ – ১৯ এপ্রিল ১৮৮২)
ঊনিশ শতকের একজন ইংরেজ জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন । তিনিই প্রথম প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিবর্তনবাদের ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম অনুধাবন করেন যে সকল প্রকার প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ হতে উদ্ভূত হয়েছে এবং তার এ পর্যবেক্ষণটি সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন।বিবর্তনের এই নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে অভিহিত করেন। তার জীবদ্দশাতেই বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব হিসাবে বিজ্ঞানী সমাজ ও অধিকাংশ সাধারণ মানুষের কাছে স্বীকৃতি লাভ করে, তবে ১৯৩০ থেকে ১৯৫০ এর মধ্যে বিকশিত আধুনিক বিবর্তনিক সংশ্লেষের মাধ্যমে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক নির্বাচনের গুরুত্ব পূর্ণরূপে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। পরিবর্তিত রূপে ডারউইনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ছিল জীববিজ্ঞানের একত্রীকরণ তত্ত্ব, যা জীববৈচিত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করে।
প্রকৃতির প্রতি ডারউইনের গভীর আগ্রহের কারণে তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান অধ্যয়নে মনোযোগী ছিলেন না; বরং তিনি সামদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন। অতঃপর ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন তার মধ্যকার প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের আগ্রহকে অনুপ্রাণিত করে।এইচ এম এস বিগলে তার পাঁচ বছরব্যাপী যাত্রা তাকে একজন ভূতাত্ত্বিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বিগলের ভ্রমণকাহিনী প্রকাশিত হলে তা তাকে জনপ্রিয় লেখকের খ্যাতি এনে দেয়।
ভ্রমণকালে তার সংগৃহীত বন্যপ্রাণ ও ফসিলের ভৌগোলিক বণ্টন দেখে কৌতূহলী হয়ে ডারউইন প্রজাতির ট্রান্সমিউটেশান নিয়ে অনুসন্ধান করেন এবং ১৮৩৮ সালে তার প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদটি দানা বেঁধে উঠতে শুরু করে।যদিও তিনি তার এ ধারণাটি নিয়ে কিছু প্রকৃতিবিদের সাথে আলোচনা করেছিলেন, তার বিস্তারিত গবেষণা কাজের জন্যে আরও সময়ের প্রয়োজন ছিল এবং তাকে তার প্রধান ক্ষেত্র ভূতত্ত্ব নিয়েও কাজ করতে হচ্ছিল।তিনি তার তত্ত্বটি লিখছিলেন যখন ১৮৫৮ সালে আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস তাকে একই ধরনের চিন্তাভাবনা সম্বলিত একটি প্রবন্ধ পাঠান, যার ফলে অনতিবিলম্বে তাদের উভয়ের তত্ত্ব যৌথভাবে প্রকাশিত হয়। ডারউইনের তত্ত্ব কিছু পরিবর্তিত হয়ে প্রকৃতিতে বহুল বৈচিত্রের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।১৮৭১ সালে তিনি মানব বিবর্তন এবং যৌন নির্বাচন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং মানুষের ক্রমনোন্নয়ন, ও তারপর পরই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীতে অনুভূতির প্রকাশ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। বৃক্ষ নিয়ে তার গবেষণা কয়েকটি গ্রন্থে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং তার শেষ বইতে তিনি কেঁচো এবং মাটির উপর এদের প্রভাব নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন।
ডারউইনের বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাতির কারণে তিনি ছিলেন ১৯ শতকের মাত্র পাঁচজন রাজপরিবারবহির্ভূত ব্যক্তিদের একজন যারা রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সম্মান লাভ করেন। ডারউইনকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে সমাহিত করা হয়, বিজ্ঞানী জন হার্শেল ও আইজ্যাক নিউটনের সমাধির পাশে।
এইচএমএস বিগ্‌লের দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা পরিচালিত হয় ইংরেজ ক্যাপ্টেন রবার্ট ফিট্‌জ্‌রয় এর নেতৃত্বে। ১৮৩১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ডেভেনপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করে ১৮৩৬ সালের ২রা অক্টোবর ফালমাউথ বন্দরে ফিরে আসে এইচএমএস বিগ্‌ল। এটিই দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা। প্রথম সমুদ্রযাত্রারও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফিট্‌জ্‌রয়। দ্বিতীয় যাত্রায় নিসর্গী তথা প্রকৃতিবিদ হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন তরুণ চার্লস ডারউইন। এই যাত্রায়ই তিনি বিবর্তনবাদের ভিত রচনা করেন। যাত্রার বর্ণনা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে ডারউইন একটি বই লিখেন যার নাম দ্য ভয়েজ অফ দ্য বিগ্‌ল।
২৭ ডিসেম্বর ১৮৩১ -এ শুরু হয়ে এ সমুদ্রসযাত্রা প্রায় পাঁচ বছর চলে এবং ডারউইন ফিটজরয়ের আকাঙ্ক্ষানুযায়ী এর প্রায় পুরোটা সময় ডাঙ্গায় ভূতাত্ত্বিক ও প্রাকৃতিক ইতিহাস সংগ্রহ করে কাটান, যখন বিগল তটভূমি জরিপ করছিল।তিনি তার পর্যবেক্ষণ ও তাত্ত্বিক ধারণাগুলো যত্ন করে লিখে রাখতেন এবং নিয়মিত বিরতিতে তার সংগৃহীত নমুনা চিঠিসহ ক্যাম্ব্রিজে পাঠাতেন, যেখানে তার পরিবারকে তার লেখা দিনলিপির অনুলিপিও অন্তর্ভুক্ত হত।তার ভূতত্ত্ব, গুবরে পোকা সংগ্রহ এবং সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী ব্যবচ্ছেদ করায় দক্ষতা ছিল, কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে তিনি একেবারেই নবীন ছিলেন এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্যে নমুনা সংগ্রহ করতেন।অনবরত সমুদ্রপীড়ায় ভুগলেও তিনি তার অধিকাংশ প্রাণীবিজ্ঞানগত লেখা সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী সংক্রান্ত, যার শুরু হয়েছিল ধীরস্থির প্লাংক্টন সংগ্রহের মাধ্যমে।
সেন্ট জাগোর উপকূলে তাদের প্রথম যাত্রাবিরতিকালে ডারউইন আবিষ্কার করেন আগ্নেয় শিলার উঁচু চূড়ার সাদা একটি অংশে ঝিনুক রয়েছে। ফিটজরয় তাকে চার্লস লায়েলের প্রিন্সিপালস অফ জিওলজির প্রথম খণ্ডটি দিয়েছিলেন যাতে ইউনিফির্মিটারিয়ানিজম প্রক্রিয়ায় বহু বছর ধরে ভূমির ধীরে ধীরে উঁচু হওয়া অথবা নিচু হয়ে হারিয়ে যাবার প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে। ডারউইন লায়েলের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন, ভূতত্ত্বের উপর একটি বই লেখার জন্যে চিন্তাভাবনা ও তত্ত্ব তৈরি করতে শুরু করেন। ব্রাজিলে গিয়ে ডারউইন নিরক্ষীয় বনভূমি দেখে মুগ্ধ হন, কিন্তু সেখানকার দাসপ্রথা তাকে ব্যথিত করে।
পাতাগোনিয়ার পুনটা আলটায় পাহাড়চূড়ায় তিনি বিশাল সব বিলুপ্ত স্তন্যপায়ীর ফসিল আবিষ্কার করেন, পাশাপাশি তিনি আধুনিক সামুদ্রিক শামুকেরও দেখা পান, সে থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, বহুকাল পূর্বে কোনো মহাপ্লাবন বা অকস্মাৎ বিপর্যয়ের ফলে নয়। তিনি স্বল্প পরিচিত মেগাথেরিয়াম আবিষ্কার করেন, যার গায়ের অস্থিময় বর্ম দেখে তিনি প্রথমটায় স্থানীয় আর্মাডিলোর দানবাকার সংস্করণ ভেবেছিলেন। ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর তার এসব আবিষ্কার রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়।ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও আরো ফসিলে অনুসন্ধান করতে তিনি স্থানীয় মানুষদের সাথে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তিনি লায়েলের দ্বিতীয় ভল্যুমটি পড়েছিলেন এবং তার প্রজাতির সৃষ্টির কেন্দ্র ধারণাটি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু তার সংগৃহীত নমুনা এবং তাদের ব্যাখ্যা লায়েলের মসৃণ অবিচ্ছিনতা এবং প্রজাতির বিলুপ্তির ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।
প্রথম বিগল  অভিযানে ধরে আনা তিনজন ফুয়েগিয়কে এই অভিযানে সঙ্গে নেওয়া হয়। তারা একবছর ইংল্যান্ডে বসবাস করে এবং টিয়ারা ডেল ফুয়েগোতে তাদের মিশনারি হিসেবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ডারউইন তাদের বেশ মিশুক এবং সভ্য আচরণের অধিকারী মনে করতেন, কিন্তু ফুয়েগোতে তাদের আত্মীয়দের সম্পর্কে তার অভিমত ছিল করুণ, অসভ্য জংলি, গৃহপালিত পশু আর বন্য পশুর মধ্যকার পার্থক্যের মতোই ছিল সভ্য মানুষ ও তাদের ফারাক।ডারউইনের মনে হয় এ পার্থক্যের কারণ সাংস্কৃতিক পশ্চাৎপদতা, জাতিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নয়। তার বৈজ্ঞানিক সুহৃদদের সাথে তার মতপার্থক্য গড়ে উঠতে শুরু করে, তিনি ভাবেন হয়ত মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কিছু একটা মিল আছে। এক বছর পর ফুয়েগিয়দের সভ্য করার মিশন পরিত্যাগ করা হয়। জেরেমি বাটন নামধারী ফুয়েগিয়ান স্থানীয়দের মতো জীবনযাপন করতে শুরু করে, সে ওখানেই বিয়ে করে এবং ইংল্যান্ডে ফিরে যাবার কোনো ইচ্ছা তার মধ্যে দেখা যায় না।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : ছবি ও লেখা  উইকিপেডিয়া 

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

2018 এবং 2019 এর জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার

2018 এর জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারটি পোলিশ লেখক ওলগা টোকারজুককে দেওয়া হয়েছে "একটি বর্ণনামূলক কল্পনার জন্য যা এনসাইক্লোপেডিক আবেগের সাথে জীবনের এক রূপ হিসাবে সীমানা অতিক্রম করে উপস্থাপন করে।"

2019 সালের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারটি অস্ট্রিয়ার লেখক পিটার হ্যান্ডকে প্রদান করা হয়েছে "ভাষাগত দক্ষতার সাথে মানবিক অভিজ্ঞতার পরিধি এবং বৈশিষ্ট্যের সন্ধান করেছেন এমন একটি প্রভাবশালী কাজের জন্য।"

ওলগা টোকারকজুক পোল্যান্ডের সুলেচুতে 1962 সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং আজ রোকাওতে থাকেন। তার বাবা-মা শিক্ষক ছিলেন এবং তার বাবা স্কুল লাইব্রেরিয়ান হিসাবেও কাজ করতেন। লাইব্রেরিতে তিনি বেশ কিছু পড়তে পেরেছিলেন যা তিনি ধরে রাখতে পারেন এবং এখানেই তিনি তাঁর সাহিত্যের ক্ষুধা বিকাশ করেছিলেন। ওয়ার্সা ইউনিভার্সিটিতে মনোবিজ্ঞানের অধ্যয়নের পরে তিনি 1993 সালে ‘পোদ্রেজ লুডিজি ক্সিয়াগি’ (‘‘The Journey of the Book-People’’) দিয়ে কথাসাহিত্যিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার আসল যুগান্তকারীটি এসেছে তার তৃতীয় উপন্যাস ‘প্রভিয়িক আই ইন সিজেসি’ 1996 (‘প্রাইভাল অ্যান্ড অ্যাড টাইমস’, 2010 ) নিয়ে। উপন্যাসটি 1989 সালের পরে নতুন পোলিশ সাহিত্যের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ, যা নৈতিক রায়কে প্রতিহত করে এবং জাতির বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করতে রাজি নয়। পরিবর্তে এটি শৈল্পিক পরিশীলনের একটি উচ্চতর ডিগ্রি সহ কল্পনার একটি অসাধারণ উপহার দেখায়।

টোকারজুকের ম্যাগনাম অপিউসটি এখন পর্যন্ত চিত্তাকর্ষক ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘ক্সিয়াগি জাকুবউই’ 2014 (‘জ্যাকবের বই’)। আরও একবার লেখক মোড এবং জেনার পরিবর্তন করে এবং কাজটি সম্ভব করার জন্য সংরক্ষণাগার এবং গ্রন্থাগারগুলিতে বেশ কয়েক বছর ঐতিহাসিক গবেষণা উত্সর্গ করেছে। টোকার্কজুক এই কাজে উপন্যাসের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেখিয়েছেন যা মানুষের বোধগম্যতার বাইরে কোনও মামলার প্রতিনিধিত্ব করে।

পিটার হ্যান্ডকে ১৯৪২ সালে দক্ষিণ অস্ট্রিয়ার কার্টেন অঞ্চলে গ্রিফেন নামে একটি গ্রামে জন্ম হয়েছিল। এটি তাঁর মা মারিয়ার জন্মস্থানও ছিল, যিনি স্লোভেনীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। 1961 সাল থেকে তিনি গ্রাজ ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন তবে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ডাই হর্নিসেন '(1966) প্রকাশিত হওয়ার কয়েক বছর পরে তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ‘পুব্লিকামসবেশিম্পফং’ নাটক (‘Offending the Audience’, 1969) একসাথে তিনি সাহিত্যের দৃশ্যে অবশ্যই নিজের ছাপ রেখেছিলেন।

পঞ্চাশেরও বেশি বছর পরে, বিভিন্ন ধারায় প্রচুর রচনা তৈরি করে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নিজেকে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর গ্রন্থপত্রে উপন্যাস, প্রবন্ধ, নোট বই, নাটকীয় রচনা এবং চিত্রনাট্য রয়েছে। তাঁর রচনাগুলি আবিষ্কারের জন্য এবং তাঁর আবিষ্কারগুলিকে তাদের জন্য নতুন সাহিত্যিক অভিব্যক্তি সন্ধানের মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ ।

আরও জানুন:
Press release: https://bit.ly/2pgsLyQ
2018 bio-bibliography: https://bit.ly/30L5zWv
2019 bio-bibliography: https://bit.ly/2M6KRuI

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৯

পদার্থবিজ্ঞানে 2019 নোবেল পুরষ্কার

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

পদার্থবিজ্ঞানে 2019 নোবেল পুরষ্কার

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস "শারীরিক বিশ্বজগতের তাত্ত্বিক আবিষ্কারের জন্য" জেমস পিলসকে অর্ধেক সহ "মহাবিশ্বের মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের বোঝার অবদানের জন্য" পদার্থবিজ্ঞানের 2019 সালের নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য অর্ধেকটি যৌথভাবে মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ের কোয়েলোজের কাছে "সৌর ধরণের নক্ষত্রের প্রদক্ষিণকারী এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের জন্য।"

পদার্থবিজ্ঞানে এই বছরের নোবেল পুরষ্কারটি মহাবিশ্বের কাঠামো এবং ইতিহাস সম্পর্কে নতুন বোঝার পুরষ্কার দিয়েছে এবং আমাদের সৌরজগতের বাইরে সৌর-ধরণের নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে এমন কোনও গ্রহের প্রথম আবিষ্কারকে পুরস্কৃত করে।

জেমস পিবেলস তার বিলিয়ন গ্যালাক্সি এবং গ্যালাক্সি ক্লাস্টার সহ মহাবিশ্বের উপর নজর রেখেছিল। তাঁর তাত্ত্বিক কাঠামোটি, যা তিনি ১৯60০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গড়ে তুলেছিলেন, বিগ ব্যাং থেকে শুরু করে আজ অবধি বিশ্বজগতের ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের আধুনিক বোঝার ভিত্তি। Peebles ’আবিষ্কারগুলি আমাদের মহাজাগতিক পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি জাগিয়ে তোলে, যার মধ্যে জ্ঞাত পদার্থটি মহাবিশ্বে থাকা সমস্ত পদার্থ এবং শক্তির মাত্র পাঁচ শতাংশ নিয়ে গঠিত। বাকি 95 শতাংশ আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে আছে। এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের কাছে একটি রহস্য এবং চ্যালেঞ্জ।

মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ের কোয়েলোজ অজানা পৃথিবী খুঁজতে আমাদের হোম গ্যালাক্সি, মিল্কিওয়ে অনুসন্ধান করেছেন। ১৯৯৫ সালে, তারা আমাদের সৌরজগতের বাইরের কোনও গ্রহের প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন, একটি এক্সোপ্ল্যানেট, একটি সৌর-ধরণের নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে। তাদের আবিষ্কার এই অদ্ভুত দুনিয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং জ্যোতির্বিদ্যায় একটি বিপ্লব ঘটায়। ৪,০০০ এরও বেশি জ্ঞাত এক্সোপ্ল্যানেটগুলি তাদের রূপগুলির সমৃদ্ধতায় অবাক করে দেয়, কারণ এই গ্রহগুলির বেশিরভাগ সিস্টেম আমাদের নিজের মতো দেখতে কিছুই লাগে না, সূর্য এবং এর গ্রহগুলির সাথে। এই আবিষ্কারগুলি গ্রহগুলির জন্মের জন্য দায়ী শারীরিক প্রক্রিয়াগুলি সম্পর্কে নতুন তাত্পর্য তৈরি করতে নেতৃত্ব দিয়েছে।

এই বছরের বিজয়ীরা মহাজগত সম্পর্কে আমাদের ধারণার পরিবর্তন করেছে। বিগ ব্যাংয়ের পরে মহাবিশ্ব কীভাবে বিকশিত হয়েছিল তা বোঝার ক্ষেত্রে জেমস পিবেলসের তাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি যখন অবদান রেখেছে, মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ের কোয়েলোজ অজানা গ্রহের সন্ধানে আমাদের মহাজাগতিক পাড়া আবিষ্কার করেছিলেন। তাদের আবিষ্কারগুলি চিরকালের জন্য আমাদের বিশ্বের ধারণাগুলি পরিবর্তিত করেছে।

Learn more
Press release: https://bit.ly/2mQUHZj
Popular information: https://bit.ly/2phPz1j
Advanced information: https://bit.ly/2on5URQ

2019 রসায়নে নোবেল পুরষ্কার

সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
2019 রসায়নে নোবেল পুরষ্কার

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস জন  বি গুডেনাফ, এম স্ট্যানলি হুইটিংহাম এবং আকিরা যোশিনোকে "লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নের জন্য" কেমিস্ট্রিতে 2019 সালের নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বিশ্বব্যাপী পোর্টেবল ইলেকট্রনিক্সগুলিকে পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় যা আমরা যোগাযোগ, কাজ, অধ্যয়ন, সংগীত শুনতে এবং জ্ঞানের সন্ধানে ব্যবহার করি। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলি দীর্ঘ পরিসরের বৈদ্যুতিন গাড়িগুলির বিকাশ এবং সৌর এবং বায়ু শক্তি যেমন নবায়নযোগ্য উত্স থেকে শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম করেছে।

১৯৭০ এর দশকে তেল সঙ্কটের সময়ে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। স্ট্যানলে হুইটিংহাম এমন পদ্ধতিগুলি বিকাশের জন্য কাজ করেছিলেন যা জীবাশ্ম জ্বালানী মুক্ত জ্বালানী মুক্ত করতে পারে। তিনি সুপারকন্ডাক্টরদের গবেষণা শুরু করেছিলেন এবং একটি অত্যন্ত শক্তি সমৃদ্ধ উপাদান আবিষ্কার করেছিলেন, যা তিনি লিথিয়াম ব্যাটারিতে একটি উদ্ভাবনী ক্যাথোড তৈরি করতে ব্যবহার করেছিলেন। এটি টাইটানিয়াম ডিসলফাইড থেকে তৈরি হয়েছিল যা একটি আণবিক স্তরে এমন ফাঁকা স্থান রয়েছে যা আন্তঃক্যালেট - লিথিয়াম আয়নগুলি রাখতে পারে।
ব্যাটারির আনোড আংশিকভাবে ধাতব লিথিয়াম থেকে তৈরি করা হয়েছিল, যার বৈদ্যুতিন প্রকাশের জন্য শক্তিশালী ড্রাইভ রয়েছে। এর ফলে এমন একটি ব্যাটারি ঘটল যা আক্ষরিকভাবে দুর্দান্ত সম্ভাবনা ছিল, মাত্র দুটি ভোল্টেরও বেশি। তবে ধাতব লিথিয়াম প্রতিক্রিয়াশীল এবং ব্যাটারিটি व्यवहार्य হওয়ার পক্ষে খুব বিস্ফোরক ছিল।

জন গুডেনোফ পূর্বাভাস করেছিলেন যে ক্যাথোডের যদি আরও ধাতব সালফাইডের পরিবর্তে ধাতব অক্সাইড ব্যবহার করা হয় তবে তার আরও বেশি সম্ভাবনা থাকবে। নিয়মতান্ত্রিক অনুসন্ধানের পরে, 1980 সালে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে আন্তঃখচিত লিথিয়াম আয়নগুলির সাথে কোবাল্ট অক্সাইড চারটি ভোল্টের বেশি উত্পাদন করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যুগান্তকারী ছিল এবং এটি আরও অনেক বেশি শক্তিশালী ব্যাটারি নিয়ে যাবে।

গুডেনোর ক্যাথোডকে ভিত্তি হিসাবে তৈরি করে, আকিরা যোশিনো ১৯৮৫ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরি করেছিলেন। অ্যানাডে বিক্রিয়াশীল লিথিয়াম ব্যবহার করার পরিবর্তে তিনি পেট্রোলিয়াম কোক ব্যবহার করেছিলেন, যা একটি ক্যাথডের কোবাল্ট অক্সাইডের মতো লিথিয়াম আয়নকে আন্তঃকলাতে পারে ।

ফলাফলটি ছিল একটি হালকা ওজনের, হার্ডওয়্যারিংয়ের ব্যাটারি যা এর কর্মক্ষমতা হ্রাসের আগে কয়েকবার চার্জ করা যেতে পারে। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সুবিধা হ'ল এগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলির উপর ভিত্তি করে নয় যা ইলেক্ট্রোডগুলি ভেঙে দেয়, তবে লিথিয়াম আয়নগুলির উপর অ্যানোড এবং ক্যাথোডের মধ্যে পিছন দিকে প্রবাহিত হয়।
১৯৯১ সালে প্রথমবার বাজারে আসার পর থেকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলি আমাদের জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে । তারা একটি ওয়্যারলেস, জীবাশ্ম জ্বালানী মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করেছে যা মানবজাতির পক্ষে সর্বাধিক উপকারী।

Learn more
Press release: https://bit.ly/2mUqRDe
Popular information: https://bit.ly/2osctlQ
Advanced information: https://bit.ly/2nzBYSu

ফিজিওলজি বা মেডিসিনে 2019 নোবেল পুরষ্কার


সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
ফিজিওলজি বা মেডিসিনে 2019 নোবেল পুরষ্কার

কোষ কীভাবে অক্সিজেনের সহজলভ্যতা অনুধাবন করে এবং আবিষ্কার করে সে সম্পর্কে তাদের আবিষ্কারের জন্য নোবেল অ্যাসেম্বলি উইলিয়াম জি ক্যালিন জুনিয়র, স্যার পিটার জে রেটক্লিফ এবং গ্রেগ এল সেমেনজাকে যৌথভাবে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে ২০১২ সালের নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। "

খাদ্যগুলিকে দরকারী শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য প্রাণীদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। অক্সিজেনের মৌলিক গুরুত্ব বহু শতাব্দী ধরে বোঝা গেছে, তবে কীভাবে অক্সিজেনের স্তরের পরিবর্তনের সাথে কোষগুলি খাপ খাইয়ে নিয়ে যায় তা অনেক আগে থেকেই অজানা।

উইলিয়াম জি। ক্যালিন জুনিয়র, স্যার পিটার জে। রেটক্লিফ এবং গ্রেগ এল। সেমেনজা আবিষ্কার করেছিলেন যে কীভাবে কোষগুলি অক্সিজেনের সহজলভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সংবেদন করতে এবং খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তারা বিভিন্ন অক্সিজেনের স্তরের প্রতিক্রিয়াতে জিনের ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন আণবিক যন্ত্রগুলি সনাক্ত করে machinery

এই বছরের নোবেলজয়ী বিজয়ীদের দ্বারা আক্ষরিক আবিষ্কারগুলি জীবনের অন্যতম অত্যাবশ্যক অভিযোজিত প্রক্রিয়াটির প্রক্রিয়াটি প্রকাশ করেছিল। অক্সিজেনের স্তরগুলি কীভাবে সেলুলার বিপাক এবং শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য তারা ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তাদের আবিষ্কারগুলি রক্তাল্পতা, ক্যান্সার এবং অন্যান্য অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন কৌশলগুলির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পথও প্রশস্ত করেছে।

Learn more
Press release: https://bit.ly/2nIICWr
Advanced information: https://bit.ly/2nz6JqI